বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ ।
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম ফেসবুক। বিশ্বব্যাপি ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই বৃদ্ধির তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ এবং ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের হার ৪২ শতাংশ।
শনিবার বসুন্ধরা সিটিতে অনুষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ-বিষয়ক দুই পর্বের সেমিনারে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দ্য ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশের ঢাকা শাখার উদ্যোগে ‘এশিয়া ইন্টারনেট সিম্পোজিয়াম ২০১৫’ শীর্ষক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ দুটি সেমিনার।
সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশে গত বছর একই সময়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি। এর মধ্যে ৮২ লাখ পুরুষ এবং ২২ লাখ নারী ছিল। শুধু ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীর সংখ্যা ছিল ৭৪ লাখ।
এর আগে গত বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিল ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৫৬ লাখ অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ পুরুষ।
অন্যদিকে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৮০ জন। আগস্ট ১৩, ২০১৩ ফেসবুকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীর সংখ্যা হয় ৫৪ লাখ।
এর মধ্যে ৪২ লাখ পুরুষ এবং ১২ লাখ মহিলা। জুন মাসের ৫ তারিখে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ৮ লাখ। সেই সময় মাত্র ৬৮ দিনের ব্যবধানে প্রায় ১৬ লাখ ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পায়।
সেই সময়ে মূল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ফেসবুকের নাম এসেছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ফেসবুকের উল্লেখ, রামুর ঘটনা, চাঁদের বুকে সাঈদী ইত্যাদি নানান কারণে অনেকে ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে।
২০১৩ সালে ফেসবুকের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আর একটি কারণ তৃতীয় প্রজন্মের থ্রিজি ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন। বর্তমানে মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুততার সঙ্গে।
সেই সঙ্গে একাধিক মোবাইল অপারেটরের দেওয়া জিরো ফেসবুকও বিপুলসংখ্যক নতুন ব্যবহারকারী এনে দিয়েছে ফেসবুককে। ২০১৩-এর তুলনায় চলতি বছরের বাড়ার হার কমে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ রাজনীতির একটু ধীরে চলা অথবা রাজনৈতিক খবরা খবর কমে যাওয়া বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে ২০১২ সালের প্রথম দিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখের বেশি। পুরো ২০১২ সালে বেড়েছে মাত্র ১০ লাখ।
সূত্রঃ দ্য ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ;
No comments