সারাবছর মশা থেকে বাঁচার একটা ছোট্ট ট্রিক!
সারা বছর মশার প্রচন্ড উপদ্রব-এ আমরা প্রচুর বিরক্ত। মশা থেকে মুক্ত
থাকার জন্য আপনার মনে হয়তোবা কয়েলের ছবি ভাসছে। কিন্তু একবারও ভেবে
দেখেছেন, এক বছরে আপনি কয়েলের পিছনে কত টাকা খরচ করেছেন? আর সব থেকে বড় কথা
হলো, কয়েল মানব শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা কি আপনি জানেন? আপনি হয়তোবা
বলতে পারেন আমি কয়েল ব্যবহার করিনা। আমার আছে এ্যারোসল! সেটাতো মানব
শরীরের জন্য আরো ভয়াবহ ক্ষতিকর । অথবা আপনি বলতে পারেন আমার কাছে ব্যাট
আছে। কিন্তু মশার সাথে কতদিন ব্যাডমিন্টন খেলবেন? ১০টা মারবেন ১০০ মশা
সামনে এসে হাজির হবে। আপনি মরে যাবেন কিন্তু আপনার মশা মারা আর শেষ হবে না!
আজকে আপনাদের শেখাব কিভাবে মাত্র ২০ টাকা খরচ করে পুরো ১ বছর মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে তার আগে আপনাকে কয়েল এবং এ্যারোসলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে হবে। তা নাহলে আপনার মাথায় ওগুলোই ঘুরপাক খাবে।
কয়েলের মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর দিকঃ
(১) আপনি যদি একটি মশার কয়েল টানা ৮ ঘন্টা জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে ১৩৭টি সিগারেটের পরিমান বিষাক্ত ধোঁয়া আপনি গিলছেন।
(২) কয়েলে যে গুঁড়া দেখেন সেটা এতটাই সূক্ষ্ম যে তা সহজেই আমাদের শ্বাসনালীর এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়ে বিষাক্ততা তৈরি করে।
(৩) কয়েলের ধোঁয়া চোখের ভীষন ক্ষতি করে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়াবহ ক্ষতিসাধন হতে পারে।
(৪) কয়েল মশাকে তাৎক্ষনিক মারে কিন্তু মানব দেহে
স্লো পয়জনিং করে, ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।
এ্যারোসলে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর দিকঃ
(১) এ্যারোসল হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মানব দেহের হার্ট সরাসরি এ্যারোসলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
(২) এ্যারোসলের ক্যামিকেল চোখের ক্ষতি করে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারে চোখের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কিভাবে বানাবেন মশার ফাঁদঃ
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
(১) দুই লিটারের একটি প্লাস্টিকের বোতল (সেভেনআপ/কোক/ফান্টা/আরসি কোলা যে কোন পিইটি বোতল)
(২) এক গ্লাসের তিন ভাগের দুই ভাগ (২০০ এমএল) ফুঁটানো ইষৎ গরম পানি
(৩) এক কাপের তিন ভাগের ২ ভাগ ব্রাউন সুগার (খোলা চিনি হলে ভালো তবে পরিশোধিত চিনি হলেও চলবে)
(৪) এক চামচ ইষ্ট (যে কোন সুপার শপ বা বড় মুদি দোকানে পাবেন)
প্রস্তুত প্রনালীঃ
মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে আপনাকে প্রস্তুত প্রানালী ধাপে ধাপে অনুসরন করতে হবে। প্রথমে প্লাষ্টিকের বোতলটি উপর থেকে ৩/৪ ইঞ্চি রেখে একটি চাকু দিয়ে কেটে ফেলুন। তারপর নিচের বড় (বোতল) অংশটিতে ব্রাউন সুগার বা খোলা চিনা বা পরিশোধিত চিনি ঢেলে দিন। নাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তারপর এক কাপ ফুটানো পানি ঢালুন। তারপর এক চামচের তিন ভাগের দুই ভাগ ইষ্ট ছেড়ে দিন। এবার বোতলের উপরের অংশটিকে চিৎ করে বড় বোতলের ভেতর বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন বোতলের উপরের অংশের মুখের ছিপিটি যেন অবশ্যই খোলা রাখেন। কারন ওখান থেকেই মশা ভেতরে ঢুকবে। এরপর একটি টেপ দিয়ে বড় এবং ছোট অংশটির জোরা শক্ত করে লাগিয়ে দিন। ব্যস! হয়ে গেলো মশা মারার হোমমেড ফাঁদ। এবার ফাঁদটিকে ঘরের যেকোন কোনায় রেখে দিন। চলতে পারবেন পুরো এক বছর।
সর্তকতাঃ
বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে তারা ভুলে খেয়ে না ফেলে।
ভালোভাবে বুঝতে ভিডিওটি দেখুন আর হ্যা! যদি মনে করেন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হতে পারে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না আর কেমন লেগেছে সেটা আমাদের কমেন্টস করে জানাতেও ভুলবেন না। মশা থেকে মুক্ত থাকুন এই কামনায় আজকে শেষ করছি।
মশার ফাঁদ বানানোর প্রক্রিয়াটি ভিডিওতে দেখুনঃ
আজকে আপনাদের শেখাব কিভাবে মাত্র ২০ টাকা খরচ করে পুরো ১ বছর মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে তার আগে আপনাকে কয়েল এবং এ্যারোসলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে হবে। তা নাহলে আপনার মাথায় ওগুলোই ঘুরপাক খাবে।
কয়েলের মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর দিকঃ
(১) আপনি যদি একটি মশার কয়েল টানা ৮ ঘন্টা জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে ১৩৭টি সিগারেটের পরিমান বিষাক্ত ধোঁয়া আপনি গিলছেন।
(২) কয়েলে যে গুঁড়া দেখেন সেটা এতটাই সূক্ষ্ম যে তা সহজেই আমাদের শ্বাসনালীর এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়ে বিষাক্ততা তৈরি করে।
(৩) কয়েলের ধোঁয়া চোখের ভীষন ক্ষতি করে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়াবহ ক্ষতিসাধন হতে পারে।
(৪) কয়েল মশাকে তাৎক্ষনিক মারে কিন্তু মানব দেহে
স্লো পয়জনিং করে, ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।
এ্যারোসলে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর দিকঃ
(১) এ্যারোসল হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মানব দেহের হার্ট সরাসরি এ্যারোসলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
(২) এ্যারোসলের ক্যামিকেল চোখের ক্ষতি করে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারে চোখের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কিভাবে বানাবেন মশার ফাঁদঃ
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
(১) দুই লিটারের একটি প্লাস্টিকের বোতল (সেভেনআপ/কোক/ফান্টা/আরসি কোলা যে কোন পিইটি বোতল)
(২) এক গ্লাসের তিন ভাগের দুই ভাগ (২০০ এমএল) ফুঁটানো ইষৎ গরম পানি
(৩) এক কাপের তিন ভাগের ২ ভাগ ব্রাউন সুগার (খোলা চিনি হলে ভালো তবে পরিশোধিত চিনি হলেও চলবে)
(৪) এক চামচ ইষ্ট (যে কোন সুপার শপ বা বড় মুদি দোকানে পাবেন)
প্রস্তুত প্রনালীঃ
মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে আপনাকে প্রস্তুত প্রানালী ধাপে ধাপে অনুসরন করতে হবে। প্রথমে প্লাষ্টিকের বোতলটি উপর থেকে ৩/৪ ইঞ্চি রেখে একটি চাকু দিয়ে কেটে ফেলুন। তারপর নিচের বড় (বোতল) অংশটিতে ব্রাউন সুগার বা খোলা চিনা বা পরিশোধিত চিনি ঢেলে দিন। নাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তারপর এক কাপ ফুটানো পানি ঢালুন। তারপর এক চামচের তিন ভাগের দুই ভাগ ইষ্ট ছেড়ে দিন। এবার বোতলের উপরের অংশটিকে চিৎ করে বড় বোতলের ভেতর বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন বোতলের উপরের অংশের মুখের ছিপিটি যেন অবশ্যই খোলা রাখেন। কারন ওখান থেকেই মশা ভেতরে ঢুকবে। এরপর একটি টেপ দিয়ে বড় এবং ছোট অংশটির জোরা শক্ত করে লাগিয়ে দিন। ব্যস! হয়ে গেলো মশা মারার হোমমেড ফাঁদ। এবার ফাঁদটিকে ঘরের যেকোন কোনায় রেখে দিন। চলতে পারবেন পুরো এক বছর।
সর্তকতাঃ
বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে তারা ভুলে খেয়ে না ফেলে।
ভালোভাবে বুঝতে ভিডিওটি দেখুন আর হ্যা! যদি মনে করেন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হতে পারে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না আর কেমন লেগেছে সেটা আমাদের কমেন্টস করে জানাতেও ভুলবেন না। মশা থেকে মুক্ত থাকুন এই কামনায় আজকে শেষ করছি।
মশার ফাঁদ বানানোর প্রক্রিয়াটি ভিডিওতে দেখুনঃ
No comments